মাসিক দোকান ভাড়ার চুক্তিনামা

মাসিক দোকান ভাড়ার চুক্তিনামা তৈরীর নিয়মাবলী

ব্যবসায়িক আইন

মাসিক দোকান ভাড়ার চুক্তিনামা


দোকানের মালিকের নাম, পিতা- দোকানের মালিকের পিতার নাম, মাতা- দোকানের মালিকের মাতার নাম, সাং- এখানে ঠিকানা লিখবেন গ্রাম/বাসা/হোল্ডিং ইত্যাদি, থানা- থানার নাম লিখবেন, জেলা: জেলার নাম লিখবেন।
(এসবগুলো দোকানের মালিকের ভোটার আইডি কার্ড অনুসারে লিখবেন। সম্ভব হলে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার উল্লেখ করবেন। পেশা: পেশা কি সেটা লিখবেন।)

………………অত্র দোকান ভাড়ার চুক্তিনামার ১ম পক্ষ।.

দোকানদারের নাম, পিতা- দোকানদারের পিতার নাম, মাতা- দোকানদারের মাতার নাম, শাহ জাহান, পিং আরব আলী, সাং- এখানে ঠিকানা লিখবেন গ্রাম/বাসা/হোল্ডিং ইত্যাদি, থানা- থানার নাম লিখবেন, জেলা: জেলার নাম লিখবেন। পেশা: পেশা কি সেটা লিখবেন।
(এসবগুলো দোকানের মালিকের ভোটার আইডি কার্ড অনুসারে লিখবেন। পেশা: পেশা কি সেটা লিখবেন।)

…………………অত্র দোকান ভাড়ার চুক্তিনামার ২য় পক্ষ৷

তফসীল


আমি ১ম পক্ষের প্রকাশ্য (দোকানের সাং অর্থাৎ ঠিকানা লিখবেন। খতিয়ান এবং দাগ নাম্বার উল্লেখ করে কত তালা বা কত নাম্বার রুম এবং চৌহদ্দি উল্লেখপূর্বক) দোকান ঘর কিছু শর্ত সমূহে ভাড়া দিলাম ও আপনি ২য় পক্ষ ব্যবসা করার জন্য ভাড়া নিয়েছেন।
(তফসীল অবশ্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ, দোকানটি ঠিক কোথায় এবং ঠিক কোনটি, এটি যেন শনাক্ত করা খুবই সহজ হয়। ধরুন, কোন ঝামেলা হল দোকান নিয়ে, তখন পুলিশ বা কোন সালিশদার এসে যে দোকানের অবস্থান চিহ্নিত করবে, তখন যেন তাদের বেগ পেতে না হয়। জমি বিক্রির সময় যেমন চার পাশে কে কে আছে অর্থাৎ চৌহদ্দি উল্লেখ করে দেওয়া হয়, তা উল্লেখ করার পাশাপাশি দোকানের ক্ষেত্রফল উল্লেখ করে দিবেন, এতো ফুট বাই এতো ফুট; ঝামেলা ছুঁকে গেলো। যদিও পূর্বে তফসীল ছাড়া বা বর্তমানেও শুধু চুক্তি হয়, যেখানে দোকানের তফসীল উল্লেখ করা হয় না। এটা হয়ত কখনো কখনো প্রয়োজন পড়ে না, তবে ঝামেলা যখন লাগে তখন তো সবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে। না হলে দুই পক্ষের যেকোনো পক্ষই পরে বলে বসতে পারে যে, আমি তো এই দোকান দিতে চাইনি ও আমার কাছ থেকে জোর করে এটা নিয়েছে। এই ভাড়ায় তো এই দোকান না, ঐ দোকান ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই তফসীল অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। তবে চুক্তির প্রথম পাতায় রাখবেন নাকি শেষ দিক সেটা আপনাদের ইচ্ছে, এর জন্য কোন গৎবাঁধা কোন নিয়ম নেই, কাস্টম অনুসরণ করে কেউ শেষে দেয়, কেউবা শুরুতেই।)

 

শর্তসমূহ


(১) আমি ১ম পক্ষ ০১/০১/২০১৯ ইং হইতে ৩১/১২/২০২০ ইং তারিখ পর্যন্ত ২ (দুই) বছর মেয়াদের জন্য ভাড়া দিলাম ও আপনি ২য় পক্ষ ব্যবসা করার জন্য ভাড়া নিয়েছেন।
(চুক্তিপত্র সর্বোচ্চ ৩ বছরের জন্য করবেন। আর অবশ্যই চুক্তি শুরুর দিন এবং সমাপ্তির দিন উল্লেখ করবেন।)

(২) উক্ত দোকান বাবদ আমি ১ম পক্ষ আপনি ২য় পক্ষের কাছ থেকে অগ্রিম ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা নিয়েছি, যা চুক্তির মেয়াদ শেষে আপনি ২য় পক্ষ ফেরত পাবেন।
(অগ্রিম কত লেনদেন হচ্ছে তা অবশ্যই চুক্তিতে উল্লেখ করবেন এবং কখন ফেরত দিবেন সেটাও। এখন ধর্মীয় দিক চিন্তা করে অনেকেই অগ্রিম টাকা থেকে প্রতি মাসে মাসে কিছু টাকা ভাড়া হিসেবে কাটার নীতি অনুসরণ করে, আপনারা চাইলে সেটাও শর্তে সংযুক্ত করতে পারেন।)

(৩) আপনি ২য় পক্ষ আমি ১ম পক্ষকে প্রতি মাসের ভাড়া পরবর্তী মাসের ০১ তারিখ থেকে ০৫ তারিখের মধ্যে ৫,০০০/ (পাঁচ হাজার টাকা মাত্র) দিতে বাধ্য থাকিবেন।
(ভাড়ার পরিমাণ এবং ভাড়া কত তারিখ থেকে কত তারিখে পরিশোধ করতে হবে সেটিও উল্লেখ করে দিবেন। অনেকেই আছে ভাড়া মাসের শুরুতেই নিয়ে নেয়, অনেকে আগে এক মাসের ভাড়া পরের মাসের শুরু নেয়, সেটা অবশ্যই উল্লেখ করবেন। ভাড়ার টাকা যদি ব্যাংকে নিতে চান, তাহলে ব্যাংকের নাম এবং অ্যাকাউন্ট নাম্বার দিয়ে দিবেন সাথে জমা রশিদ সংগ্রহে রাখতে বলবেন, যাতে গড়মিল হলে পরে প্রমাণ থাকে।)

(৪) উক্ত দোকান চলাকালীন বিদ্যুৎ বিল আপনি ২য় পক্ষ দিতে বাধ্য থাকিবেন।
(মিটার হয়ত মালিকের নামেই থাকবে কিন্তু ভাড়া দিতে হবে ভাড়াটিয়াকে। কোন ভাড়া বকেয়া রেখে ভাড়াটিয়া চলে গেলে তা অগ্রিম টাকা থেকে কাঁটা বা কর্তন করা হবে।)

(৫) আপনি ২য় পক্ষ মেয়াদান্তে কোন প্রকার তাল বাহানা করিয়া ভাড়াটিয়া ঘর আপনার দখলে রাখার চেষ্টা করিবেন না, করিলে অনাধিকার প্রবেশকারী হিসেবে গণ্য হইবেন যা আইনত দণ্ডনীয় হইবে।
(আইন বহির্ভূত উপায়ে আরেকজনের জায়গায় প্রবেশ করা যায় না, করলে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪৪১ ধারা অনুযায়ী অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশের অপরাধ করবে, যার শাস্তি ৩ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। তাই, ভাড়ার মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই বা শেষ হওয়ার আগেই যদি চুক্তি নবায়ন করা সম্ভব না হয়, তাহলে ভাড়া দোকান ছেড়ে দিতে হবে। আর, মালিক হিসেবে চুক্তি শেষ হওয়ার সাথে সাথেই ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, না হলে দখল স্বত্ব দাবী করে বসতে পারে।)



(৬) আপনি ২য় পক্ষ দোকান ঘর নষ্ট বা মেরামতের প্রয়ােজন হইলে ৫০০/- টাকার নীচে হলে নিজ খরচে ইহা সম্পন্ন করিবেন এবং এই টাকা আপনি ১ম পক্ষের কাছে দাবী করিবেন না। তবে ৫০০/- টাকার বেশী হইলে আপনি ২য় পক্ষ আমি ১ম পক্ষের সাথে পরামর্শ করা ব্যতীত নিজ ইচ্ছায় মেরামত করিবেন না।
(মাঝে মাঝেই দোকান মেরামতের প্রয়োজন পড়ে, সাঁটার নষ্ট হয়ে যায়, উপরে ছাদ/টিন থাকলে টিনের সমস্যা হতে পারে, বৈদ্যুতিক সংযোগে সমস্যা হতে পারে। তাই একটা মার্জিন ঠিক করতে হবে যে পর্যন্ত দোকানদার/ভাড়াটিয়া নিয়ে করবেন, মার্জিনের উপরে হলে মালিকপক্ষকে জানাবে, তখন মালিক পক্ষ নিজ খরচে ঠিক করে দিবেন।)

(৭) আপনি ২য় পক্ষ আমি ১ম পক্ষের দোকান ভাড়ার টাকা বাকি রাখিলে ভাড়ার টাকা আদায় সম্পর্কে প্রচলিত আইন অনুযায়ী নালিশ করিয়া সব খরচ ক্ষতিপূরণসহ আমি ১ম পক্ষ আদায় করিতে পারিব।
(ব্যবসা সবসময় ভালো নাও যেতে পারে, তাই ভাড়ার টাকার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। ভাড়ার টাকা সময় মত পরিশোধ না করলে মালিক পক্ষও বিপদে পড়ে যাবে। কেননা, যে দোকানে ব্যবসা পরিচালনা করে আপনি আপনার সংসার চালাচ্ছে, ঠিক সেই দোকান ভাড়া দিয়েই হয়ত মালিক পক্ষ তার সংসার চালাচ্ছে। তাই, একে অন্যের প্রতি সদয় হয়ে ভাড়ার বিষয়ে জটিলতা এড়িয়ে চলবেন। কখনো সেটা অগ্রিম থেকে কাঁটা যেতে পারে, কখনো কয়েক মাসের ভাড়া একসাথে পরিশোধ করা যেতে পারে।)

(৮) দুই মাসের বেশী ভাড়া বকেয়া থাকিলে আমি ১ম পক্ষ আপনি ২য় পক্ষকে কোন প্রকার নোটিশ ব্যতীত দোকান ঘর দখলে নিয়ে নিতে আপনি ২য় পক্ষ কোন প্রকার আপত্তি বা বাঁধা প্রদান করিবেন না, করিলেও তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
(এটা ৭ নাম্বার পয়েন্টেরই একটা সাব পয়েন্ট বলা চলে। এখানে কয়মাস ভাড়া না দিলে বাড়িওয়ালা পদক্ষেপ নিতে পারবেন, সেই সম্বন্ধে একটা হুঁশিয়ারি দেওয়া থাকবে, ২ মাস হতে পারে, ৩ মাস হতে পারে, এটা দুই পক্ষের সম্মতিতে ইচ্ছেমত দেওয়া যাবে।)

(৯) ভাড়াটিয়া ঘরের কোন প্রকার ক্ষতি করিলে বা কোন প্রকার পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করিলে আপনি ২য় পক্ষ আমি ১ম পক্ষকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকিবেন।
(ভাড়া দিয়ে যখন থাকছেন তখন আপনি চাইলেই আপনার মতো ডেকোরেশন করতেই পারেন, কিন্তু তাই বলে যার স্থাপনা তার অনুমতি না নিয়ে তো নয়। এজন্য অবশ্যই মালিক পক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে আপনি পরিবর্তন, পরিবর্ধন করতে পারবেন, তবে আপনার দ্বারা কোন ক্ষতিসাধন হলে অবশ্যই তার জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।)

(১০) চুক্তি বলবত থাকাবস্থায় ভাড়াটিয়া ঘরে কোন প্রকার অসামাজিক, অনৈতিক বা অবৈধ কার্যকলাপ সম্পন্ন হইলে, আপনি ২য় পক্ষ এর জন্য দায়ী থাকবেন। আমি ১ম পক্ষ এর জন্য কোন প্রকার দায়ভার গ্রহণ করিব না।
(দোকান দিয়েছেন ওষুধ বিক্রির জন্য, কিন্তু আপনি নিষিদ্ধ কিছু বিক্রি করবেন আর ধরা পড়লে মালিক পক্ষ কেন দায়ী থাকবে? তেমনি অনেকেই আছে রেস্টুরেন্ট/পার্লার/সেলুনের জন্য ভাড়া নিয়ে পরে সেখানে অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করে, তখন দেখা যায় যে, মামলা মোকদ্দমা হয়ে দোকানও বন্ধ থাকে, আর Reputation/সম্মানের কথা নাই বা বললাম। তাই, ভাড়াটিয়া যদি কোন অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে তার জন্য মালিক পক্ষ দায়ী থাকবেন না। যানবাহনে যেভাবে লেখা থাকে, অবৈধ মালামাল বহনের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নহে।)

(১১) আমি ১ম পক্ষ আপনি ২য় পক্ষকে উক্ত দোকান ভাড়া দিয়েছি, আপনি আমার অনুমতি ব্যতীত কোন প্রকার সাবলেট ভাড়া দিতে পারবেন না। দিলে আমি এটি চুক্তি ভঙ্গের কারণ হিসেবে ধরে নিয়ে উক্ত চুক্তি ভঙ্গ করিব।
(অনেকেই আছে দোকান ভাড়া নেওয়ার সময় ইয়া বড় একটা দোকান নেয়, পরে দেখে ভাড়া দিয়ে কুলাতে পারছে না। তখন, একে ওকে সাবলেট দিয়ে দেয়, দেখবেন দোকান ছিল দুই শাটারের, এখন দুই শাটারে দুই দোকান। এসব করার আগে অবশ্যই মালিক পক্ষকে জানাতে হবে।)

(১২) আমি ১ম পক্ষ এবং আপনি ২য় পক্ষ চাইলে চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কিছু আগে একে অন্যের উপর সন্তুষ্টি থাকলে এবং আপনি ২য় পক্ষের আগ্রহ থাকলে আমরা পুনরায় চুক্তি নবায়ন করতে পারি এবং সেই সাথে ভাড়া সমন্বয় করতে পারি।
(এটা হচ্ছে দুই বেয়াইয়ের কথোপকথনের মতো। ভাড়াটিয়া আর মালিক একে অন্যের ব্যবহারে সন্তুষ্ট থাকলে তো তারা চুক্তি নবায়ন করতেই পারে আর মুদ্রাস্ফীতির কারণে ভাড়াও বাড়বে, সেটা আলোচনা সাপেক্ষেই করতে পারবেন।)

(১৩) আমি ১ম পক্ষ বা আপনি ২য় পক্ষ চাইলে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই চুক্তি বাতিল করতে চাইলে অন্তত ৩ মাস আগে একে অন্যকে লিখিত নোটিশ প্রদান করবো এবং ক্ষতিপূরণ পূর্বক (একটা মূল্য আপনারা বসে ঠিক করবেন) টাকা পরিশোধ করে চুক্তি বাতিল করতে পারবো।
(অনেক সময় দেখা যায়, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই চুক্তি বাতিলের প্রয়োজন দেখা দিতে পারে, সেটা উভয় পক্ষের জন্যই হতে পারে। তাই একটা ক্ষতিপূরণ আগেই নির্ধারণ করে নিতেন পারেন, যেমন ভাড়াটিয়া ৩ মাস আগে নোটিশ দিয়ে ৩ মাসের ভাড়া পরিশোধ করলে দোকান মালিকের কোন আপত্তি থাকার কথা নয়। আবার, ভাড়াটিয়াকে ৩ মাস আগে দোকান ছাড়তে হলে কত দিতে হবে সেটা চুক্তি করার আগে দোকানদারের প্রস্তাব অনুসারে মালিক পক্ষ সম্মতি জানাতে সেই অনুসারেই হতে পারে। এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, যারা ভিকটিম হয়েছেন তারা বুঝবেন, বাকিরা শুধুই স্ক্রোল করে যাবে।)

(১৪) আমি ১ম পক্ষ আপনি ২য় পক্ষকে যে দোকান ভাড়া দিচ্ছে, আপনি সেই দোকান দেখিয়ে বা দোকানের চুক্তি পত্র দেখিয়ে কোন প্রকার লোণ বা ঋণ নিতে পারবেন না।
(লোন বা ঋণের ব্যাপারে অনেকেই আবার সমীচীন থাকেন, অনেকেই সম্মতি দিয়ে থাকেন, তাই এটা পরিবর্তনযোগ্য।)

(১৫) আমি ১ম পক্ষ আপনি ২য় পক্ষকে যে দোকান ভাড়া দিচ্ছে, আপনি সেই দোকানে কোন প্রকার সমাজ বিরোধী বা রাষ্ট্র বিরোধী বা ধর্ম বিরোধী বা উস্কানি মূলক কিছুই করবেন না। সমাজ বিরোধী বা রাষ্ট্র বিরোধী বা ধর্ম বিরোধী বা উস্কানি মূলক কিছু করলেই আপনাকে আমি বিনা ক্ষতিপূরণে চুক্তি ভঙ্গ করে দোকান থেকে বের করে দিতে পারবো। আর, আমি ১ম পক্ষের অগোচরে আপনি ২য় পক্ষ সমাজ বিরোধী বা রাষ্ট্র বিরোধী বা ধর্ম বিরোধী বা উস্কানি মূলক কিছু করে থাকলে আমি ১ম পক্ষ কোন মতেই দায়ী থাকবো না। কর্ম কাণ্ড যার যার, দায় তার তার।
(এমন অনেক ঘটনা রয়েছে যে ভাড়াটিয়া দোকানে রাষ্ট্র বা ধর্ম বিরোধী কিছু করেছে আর জনগণ এসে গণধোলাই দিয়ে দোকানদার গুরুতর আঘাত করেছে আর দোকান ভাঙচুর করেছে। এবার দোকানের মালিক পক্ষ কার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করবে?- এটা কি ইউরোপ, আমেরিকা যে ক্ষতিপূরণের মামলা করলেই ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়? যেখানে গাড়ি ভেঙ্গে ফেললে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় না, সেখানে দোকান ভাঙলে বড় জোর ফৌজদারি মামলা করতে পারবেন, ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশা মরীচিকা। তাই, ভাড়াটিয়াকে কঠোর নির্দেশ দিতে হবে যে, বাবা বিদ্রোহী হতে চাও, চে গুয়েভারা হতে চাও, ভালো কথা; নিজের বাড়িতে গিয়ে করো, আমার ভাড়া দোকানে না।)

(এরপরও আরও কোন শর্ত আপনার ইচ্ছে হলে যুক্ত করতে পারেন বা এখান থেকে কিছু পয়েন্ট বাদও দিতে পারেন। আমাদেরকেও জানাতে পারেন, তাহলে আমরা এই আর্টিকেলে সম্পাদন করে দিবো আপনার পয়েন্টটি।)

এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে, সরল মনে উল্লেখিত শর্ত সমূহ প্রতিপালনে উক্ত চুক্তিনামা পাঠ করিয়া ও ইহার মর্ম অবগত হইয়া আমি ১ম এবং আপনি ২য় পক্ষ নিজ নিজ নাম স্বাক্ষর ও সম্পাদন করিলাম।

সাক্ষীগণ
১।                       

            ——————————-
১ম পক্ষের স্বাক্ষর

২।

——————————-
২য় পক্ষের স্বাক্ষর

 

উল্লেখ্য, চুক্তির কপি কার কাছে থাকবে এটা নিয়ে আবার হট্টগোল লেগে যায়। জেনে রাখুন, দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্রের মূল কপি থাকবে দোকানদারের কাছে আর তার ফটোকপি থাকবে মালিকপক্ষের কাছে। তাছাড়া, ষ্ট্যাম্প কত ষ্ট্যাম্পে হবে এটা নিয়েও একেক জনের একেক মন্তব্য। ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০, ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে এই দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র করা হয়ে থাকে। বিতর্ক এড়িয়ে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকার অর্থাৎ ১০০ টাকার ৩ টি নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র করাই উত্তম। চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরের সময় দিন তারিখ উল্লেখ করবেন আর শেষ পৃষ্ঠায় স্বাক্ষরের জন্য যে জায়গা উপরে দেখানো হল, তাছাড়াও প্রত্যেক পৃষ্ঠার উপরে ডান পাশে খালি জায়গা থেকে ষ্ট্যাম্পে টাকার ছবি পর্যন্ত আড়াআড়ি ভাবে স্বাক্ষর করবেন। যারা স্বাক্ষর জানেন না, তারা বাম হাতের বুড়ো আঙুলের ছাপ দিবেন। ষ্ট্যাম্পের লেখা হাতে লিখেও সম্পাদন করতে পারেন আবার কম্পিউটার কম্পোজ করেও করতে পারেন। উপরে আমাদের দেওয়া শর্তগুলো কপি করে নিজেদের মতো করে সাজিয়ে লিখতে পারেন। আশা করি, বুঝতে পেরেছেন, ধন্যবাদ।

close

Subscribe

Subscribe to get an inbox of our latest blog.